মাননীয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আপনি জানেন কি?
বাংলাদেশে প্রতিদিন বিভিন্ন হ্যাচারীর উৎপাদিত লক্ষ লক্ষ একদিনের মুরগীর বাচ্চা মেরে ফেলতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ-
- ১টি বাচ্চার উৎপাদন খরচ পরে প্রায় ৩৫ টাকা কিন্তু বিক্রি করতে হচ্ছে মাত্র ৫ থেকে ১০ টাকা।
- প্রতিটি বাচ্চায় ২৫ থেকে ৩০ টাকা লস দিতে হচ্ছে।
- খামারীদের ১ কেজি মুরগীর মাংস তৈরী করতে খরচ পরে প্রায় ১৪৮ টাকা। বর্তমান বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ১০৮ থেকে ১১২ টাকায়। তার মানে প্রতি কেজি মাংস বিক্রিতে লস গুনতে হচ্ছে প্রায় ৪০ টাকা।
- একজন খামারী ১০০০ মুরগী পালন করে, গাধার মত খেটে মাস শেষে লস গুনতে হচ্ছে প্রায় ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা।
- পোলট্র্রি ফিডের ১ কেজি খাদ্যের পূর্বের দাম ছিল ৩৮ টাকা। মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়ে এখন ১ কেজি খাদ্যের দাম দাঁড়িয়েছে ৬২ টাকা। এভাবে পোলট্রি রিলেটেড সবকিছুর দাম বাড়ছে শুধু বাড়েনি মুরগীর মাংস ও ডিমের দাম।
যেদিন সংসদে বাজেট ঘোষণা করা হল সেদিন বাজেট বক্তৃতায় মাননীয় অর্থমন্ত্রী বলেছেন পোলট্রি ফিডের দাম কমবে, কিন্তু বাস্তবে উল্টো টা হয়েছে। বাজেট ঘোষণার পরের দিন থেকে ফিডের দাম বেড়েছে প্রতি কেজিতে ২/৩ টাকা করে।
আপনি মাননীয় মন্ত্রী,
এই শিল্পকে বাঁচাতে আপনি কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন তা আমাদের জানতে ইচ্ছে করে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে নেয়া কার্যকরি কোন পদক্ষেপ আমাদের চোখে পড়েনি।
দেশে পোলট্রি সেক্টরে যাচ্ছে তাই অবস্থা বিরাজমান। সেজন্যে বাংলাদেশ ব্রিডার্স এসোসিয়েশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে কম দামে আর বাচ্চা বিক্রি করবেনা। প্রয়োজনে বাচ্চা ক্রাস করে মেরে ফেলবে।
মাননীয় মন্ত্রী এভাবে চলতে থাকলে আগামী অল্প কিছুদিন পর বাজারে কোন মুরগী থাকবেনা। শুধু তাই নয় দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠি কম মূল্যে প্রানিজ প্রোটিন পাবে না। যে জনসম্পদ পুষ্টি সমৃদ্ধ হয়ে মেধাবী জাতিতে পরিণত হচ্ছিল তা আবারো বিপরীত দিকে ধাবিত হবে।
তাই বিনয়ের সাথে অনুরোধ করছি, এই শিল্পকে বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ও কার্যকরি ব্যবস্থা অচিরেই গ্রহণ করতে হবে। একটা পর্যায়ে লস গুনতে গুনতে হ্যাচারী বন্ধ হবে, খামার বন্ধ হবে। এই সেক্টরে কর্ম করে জীবিকা নির্বাহী দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকারত্বের অভিশাপে পতিত হবে।
লেখক : ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার, মার্কেটিং এন্ড সেলস
জামান গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ