বিগত ২৫ মে ২০২২ ঢাকায়-আগামি পাাঁচ বছরের কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্ক (সিপিএফ) স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে এফএও-বাংলাদেশ সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এর মাধ্যমে কৃষি পরিবর্তনের গতি তরন্বিত হবে।
সিপিএফ ২০২২-২৬ হল বাংলাদেশের জন্য একটি কৌশলগত পরিকল্পনা ও ব্যবস্থাপনা কাঠামো, যা জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থাকে (এফএও) তার মধ্য মেয়াদি কান্ট্রি প্রোগ্রামাকে কোন দেশের সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন নীতি ও অগ্রাধিকারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রস্তুত করার সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা প্রদান করে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদিত এই মূল নথিতে গুরুত্ব পেয়েছে, টেককই এবং সবুজ কৃষি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, নারী ও যুবকদের অগ্রাধিকার, সেই সাথে স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহ।
ঢাকাস্থ পরিকল্পনা কমিশনে সিপিএফ এ স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে অথর্ মন্ত্রনালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন এবং এফএও-এর পক্ষে বাংলদেশের প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন।
এফএও-এর বাংলদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডি সিম্পসন জানান,“এই নতুন কান্ট্রি প্রোগ্রামিং ফ্রেমওয়ার্কটি বাংলাদেশ সরকারের সাথে আমাদের কয়েক দশকের অংশিদারিত্বের সাফল্যের উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠবে।
কারণ আমরা সহযোগিতার একটি নতুন পর্যায়ে প্রবেশ করছি যা জলবাযু সহনশীল এবং টেকসই কৃষি, খাদ্য রপ্তানি, অন্তর্ভূক্তি এবং পুষ্টি নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দিয়েছে। উক্ত লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান ও গবেষনায় বিনিয়োগ বাড়ানো এবং ডিজিটালাইজেশনকে উৎসাহিত করা, অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার মূল চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করবে। এবারের সিপিএফ এমন উচ্চাকাঙ্খা অর্জনে সহায়ক হবে।
সিপিএফ ২০২২-২৬ পর্যন্ত এফএও এর কৌশলগত অগ্রাধিকারকে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাযুক্তিক সহযোগিতার মূল ক্ষেত্রসমূহ এবং মধ্য মেয়াদি দেশ পর্যায়ের কার্যক্রম নির্ধারণ করা হয়েছে। এটি জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন সহযোগিতা ফ্রেমওয়ার্ক ২০২২-২৬, ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা, ২০৩০ এজেন্ডা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এবং ২০৪১ এর জন্য পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনার সাথে সমন্বিত। এটি এফএও এর ২০২২-২০৩১ এর কৌশলগত কাঠামোর প্রতিফলন যা ২০৩০ এর এজেন্ডাকে সমর্থন করে। আরো দক্ষ, অন্তর্ভূক্তিমূলক, সহনশীল এবং টেকসই কৃষি খাদ্য ব্যবস্থায় রূপান্তরের মাধ্যমে আরো উন্নত উৎপাদন, আরো উন্নত পুষ্টি, উন্নততর পরিবেশ ও উন্নততর জীবন নিশ্চিত করতে চায়।
দেশের খাদ্য ও কৃষি খাতের ক্রমবিকাশ অব্যাহত থাকায় নিত্য নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও প্রযুক্তির প্রয়োজন সৃষ্টি হবে। সাধারণ কৃষক ও খামারী, জেলে, পশুপালক অন্যান্য উৎপাদক এবং ছোট-বড় খুচরা বিক্রেতারা সফলভাবে নতুন উদ্ভাবনী ধারণা এবং ডিজিটাল প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। উৎপাদন এবং টেকসই সম্পদ ব্যবস্থাপনার এই অগ্রগতি তাদের আয়ের উপায় বৃদ্ধি করবে, পাশাপাশি পরিবেশগত অবনতিকে প্রতিহত করতে সাহায্য করবে।
বাংলাদেশ ১৯৭৩ সালে এফএওতে যোগদানের পর থেকে এফএও এর প্রত্যক্ষ প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় বাংলাদেশে প্রায় ৩৫০ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। যার সম্মিলিত বাজেট প্রায় ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। নতুন সিপিএফ এর বাজেট প্রায় ১২৫ মার্কিন ডলার, এর মাধ্যমে বিনিয়োগ উৎসাহিত করা হবে।
গত কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে, কোভিড-১৯ মহামারিসহ বৈশি^ক অর্থনৈতিক প্রতিকুলতার প্রতি যথেষ্ট সহনশীলতা দেখাচ্ছে। কৃষি এক্ষেত্রে অর্থনীতিতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে চলেছে। এ খাতটি দেশের মোট অভান্তরিণ উৎপাদনে ১২ শতাংশ অবদান রাখে এবং দেশের শ্রম শক্তির এক তৃতিয়াংশ কৃষি খাতের সাথে সংশ্লিষ্ট।
কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে গাভীর জাত উন্নয়ন
বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ। এ দেশের আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপটে গবাদি পশু আবহমান কাল থেকেই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। “আমার...
Read more