এন্টিবায়োটিক মুক্ত পোলট্রি উৎপাদন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে একটি আলোচিত বিষয়। অনেক দেশ এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসটেন্ট এর বৃদ্ধি ও প্রবর্তক হিসাবে প্রাণি খাদ্যে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে মানুষের জন্য চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবায়োটিক গুলোকে নিয়ন্ত্রিত বা অপসারণ করা হয়েছে। এমনকি পোলট্রি উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস করা হয়েছে। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে বিশ্বব্যাপী বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ (১৬-২২নভেম্বর) পালন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে এটা মনে করিয়ে দেয়া যে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, তাই এটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্ক হওয়া দরকার। সুতরাং সময় থাকতে আমাদের সকলেরই সচেতন হতে হবে।
এন্টিবায়োটিক কী
এন্টিবায়োটিক হল এক ধরনের এন্টিমাইক্রোবিয়াল পদার্থ, যা ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে বা বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। মানব ও প্রাণি চিকিৎসা উভয় ক্ষেত্রেই সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ বা প্রতিরোধের জন্য অপরিহার্য। এন্টিবায়োটিক (ইংরেজি: ধহঃরনরড়ঃরপ) কয়েক ধরনের জৈব-রাসায়নিক ঔষধ যা অণুজীবদের (বিশেষ করে ব্যাক্টেরিয়া) বিনাশ করে বা বৃদ্ধি রোধ করে। সাধারানত: এক এক এন্টিবায়োটিক এক এক ধরনের প্রক্রিয়ায় অন্যান্য অণুজীবের বিরুদ্ধে কাজ করে। বিভিন্ন ব্যাক্টেরিয়া (ইধপঃবৎরধ) ও ছত্রাক (ঋঁহমর) থেকে এন্টিবায়োটিক তৈরি করা হয়। এন্টিবায়োটিক সাধারণভাবে ব্যাক্টেরিয়ার বিরুদ্ধে ব্যবহার হয়, ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে না।
এন্টিবায়োটিক ব্যবহারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চিত্র:
দ্রুত দৈহিক বৃদ্ধির জন্য ব্রয়লার মুরগির খাদ্যে বিশ্বব্যাপি এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের প্রচলন রয়েছে। তাই, এন্টিবায়োটিকের ক্ষতিকর দিক বিবেচনা করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তন্মধ্যে সুইডেন ১৯৮৬, ডেনমার্ক ১৯৯৫, নেদারল্যান্ড ১৯৯৯, তাইওয়ান ২০০৫, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ২০০৬, জার্মানি ২০০৮ এবং দক্ষিণ কোরিয়া ২০১০ সাল থেকে গ্রোথ প্রোমোটর হিসেবে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। অন্যদিকে, আমেরিকা ২০১২ সালে খাদ্য ও ঔষধ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার তদারকি করে। এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ক্ষেত্রে কানাডা, মেক্সিকো, জাপান ও হংকং ভেটেরিনারী চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র অনুসরণ করে। চীনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রনের জন্য ২০০৭ সালে ন্যাশনাল এন্টিব্যাকটেরিয়াল রেজিস্টেন্স ইনভেস্টিগেশন নেট গঠন করে। ভারত পোলট্রি পালনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের Withdrawal Period অনুসরণ করে থাকে।
খামারীরা কেন এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন
১। ব্রয়লার মুরগির বৃদ্ধির হার পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ১৯৫৭ সালে একটি ব্রয়লার ৫৬ দিন পালন করলে গড় ওজন পাওয়া যেত ৯০০ গ্রাম। অন্যদিকে জেনেটিক উন্নয়নের ফলে ২০১৮-১৯ সালে মাত্র ১ মাস বয়সে একটি ব্রয়লার মুরগি প্রায় ২ কেজি ওজনের হয়ে থাকে। সুতরাং বর্তমানে খামারীদের ধারণা তাদের মুরগি গুলোকে এন্টিবায়োটিক না খাওয়ালে কাঙ্খিত ওজন পাবেন না।
২। দেশে বাচ্চা উৎপাদনের জন্য হ্যাচারী এক জায়গায় স্থাপিত হলেও সারাদেশে খামারীদের কাছে বাচ্চা বিক্রয় ও সরবরাহ করতে প্রায় ২ দিন লেগে যায়। এতে বাচ্চা দূর্বল হয়ে পড়ে। এই ধকল কাটানোর জন্যও অনেকে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন।
৩। বাচ্চা ব্রুডিং কালীন যে তাপমাত্রায় পালন করা প্রয়োজন বেশীরভাগ খামারী তা রক্ষা করতে পারে না। ফলে
কাঙ্খিত ওজন আসেনা বিধায় খামারীরা এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন।
৪। অনেক খামারের জৈব নিরাপত্তা, খামার পরিকল্পনা, খাদ্য ব্যবস্থাপনা, লিটার ব্যবস্থাপনাসহ মুরগি পালনের জন্য আদর্শ ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে পারেনা। খামারী এর বিকল্প সহজ সমাধান হিসেবে এন্টিবায়োটিক ও গ্রোথের জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিসিন ব্যবহার করে থাকে।
৫। মুরগি বিক্রয়ের পর পরিবহনের সময় কোন নিয়ম (গাড়ীতে মুরগির ঘনত্ব, বায়ূ চলাচলের জন্য ফ্যান, অধিক গরম/শীতের কোন ব্যবস্থা না রাখা) অনুসরণ করে না। ফলে, পরিবহনের ধকল নিরাময়ে অনেক খুচরা বিক্রেতা খাদ্য ও পানিতে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন।
৬। স্থানীয় খামারীদের অজ্ঞতা, গ্রামীণ/প্রত্যন্ত অঞ্চলে যথাযথ প্রাণি চিকিৎসা পরিষেবার অভাব এবং উচ্চ মুনাফার আকাঙক্ষা কৃষকদের নির্বিচারে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করতে প্ররোচিত করেন।
৭। বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ঔষধের দোকানে এন্টিবায়োটিক গুলো সহজে পাওয়া যায় বিধায় খামারীরা তা নির্বিচারে ব্যবহার করেন।
৮। সাধারণত অধিকাংশ খামারী বাচ্চা এবং খাদ্যের জন্য ডিলারের উপর নির্ভরশীল। এক্ষেত্রে ডিলারদের প্ররোচনায় এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন।
অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের কুফল:
দেশের অধিকাংশ পোলট্রি খামারি মনে করেন এন্টিবায়োটিক ছাড়া খামার করা সম্ভব নয়। খামারিগণ নিজেদের অজ্ঞতা কিংবা অন্ধ অনুসরণে বিনা প্রয়োজনে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করে থাকেন। অধিকাংশ খামারি রুটিন অনুসরণ না করে এন্টিবায়োটিক প্রয়োগ করে থাকেন। অহেতুক এন্টিবায়োটিক জাতীয় ঔষধ ব্যবহার করে অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। নিয়মিত প্রত্যাহারের সময় কাল অনুসরণ না করে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই যথেচ্ছা ব্যবহৃত এন্টিবায়োটিক টিস্যু এবং বিভিন্ন অঙ্গে জমা হয়ে বিভিন্ন ঘনত্বে অবশিষ্টাংশ তৈরি করে। বাংলাদেশে, সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যে টট্রাসাইক্লিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, এনরোফ্লক্সাসিন এবং এমোক্সিসিলিনের মতো প্রধান এন্টিবায়োটিকের উচ্চ মাত্রার অবশিষ্টাংশ বেশির ভাগ ব্রয়লারের লিভার, কিডনি, রানের মাংস এবং বুকের মাংসে পাওয়া যায়।
এন্টিবায়োটিকের প্রত্যাহার কাল না মানার ফলে উক্ত মাংসে এন্টিবায়োটিকের উপস্থিতি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তবে গবেষণার তথ্য মতে, রান্না করলে (সিদ্ধ বা ফ্রাই করলে) ৯৬.২৫% সিপ্রোফ্লক্সাসিন, ৯৯.৫৫ % অক্সিটেট্রাসাইক্লিনের রেজিস্টেন্স ক্ষমতা নষ্ট হলেও কিছু বিদ্যমান থাকে ফলে ভোক্তার শরীরে এন্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্টেন্স ক্ষমতা তৈরী হয়।
এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে বলা হয় এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স যা আমাদের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এইক্ষেত্রে ঔষধ খেয়েও ভালো ফল পাওয়া যায় না, কারন জীবাণুর বিপক্ষে এন্টিবায়োটিক আর কাজ করতে পারে না।
এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার উৎপাদনের প্রয়োজনীতা:
বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট বলছে যে বাণিজ্যিক পোলট্রি খামারীরা প্রাণি চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র বা পরামর্শ ছাড়াই নির্বিচারে যে কোনো এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেন। বাংলাদেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়া ঔষধের দোকানে এন্টিবায়োটিক সহজে পাওয়া যায়। এই ধরনের অনুশীলন প্রাণী এবং খাদ্য উৎস থেকে ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধের হার বৃদ্ধির সাথে সাথে এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার ও বাড়াচ্ছে।
অনেক দেশে, স্বাস্থ্য সেবা পেশাদারদের প্রেসক্রিপশনের
মাধ্যমে এন্টিবায়োটিকের সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করা হয়। দুর্ভাগ্যবশত, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে, প্রেসক্রিপশন ছাড়াই বিক্রয় এবং বিতরণ চলছে, যা প্রায়ই অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার, সংক্ষিপ্ত/অসম্পূর্ণ চিকিৎসা কোর্স, এন্টিবায়োটিকের ভুল নির্বাচন, অনুপযুক্ত ডোজ এর সাথে যুক্ত। এন্টিবায়োটিকের নির্বিচারে ব্যবহার মাংসল প্রাণীদের দেহে অবশিষ্টাংশ জমা করে এবং ফল স্বরূপ এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্টের বিকাশ ঘটায়।
এই এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্টের কারণে প্রতিবছর প্রায় আমেরিকা এবং ইউরোপে যথাক্রমে ২৩,০০০ এবং ২৫,০০০ লোকের মৃত্যু ঘটে। ভারতে, একই কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫৭,০০০ নবজাতক সেপসিসে মৃত্যুঘটে। উচ্চ মাত্রার এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্ট ক্ষমতা বাংলাদেশকে একটি আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক হুমকির মুখে ফেলেছে। বাংলাদেশে, ডায়রিয়ায় বছরে প্রায় ২,৩০,০০০ শিশু মারা যায়, তাদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ এন্টিবায়োটিক রেজিস্টেন্টের কারণে। একটি সমীক্ষায় অনুমান করা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় ১,৫০,০০০ পোলট্রি ফার্ম বার্ষিক ৫৭০মিলিয়ন টন মাংস এবং ৭.৩৩৪ বিলিয়ন ডিম উৎপাদন করছে এবং আমাদের সরবরাহকৃত পোলট্রি ও মাংস থেকে আমরা প্রায় ৬৮.১৭% প্রাণীজ প্রোটিন গ্রহণ করি।
কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, এটা জানা গেছে যে ৮৮% কৃষক তাদের ফ্লোক থেকে এন্টিবায়োটিক প্রত্যাহার করেনি এবং তারা বিপণন পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করেছে। অন্যদিকে মাত্র ১০% কৃষক বাজারজাত করণের আগে এন্টিবায়োটিক ব্যবহার বন্ধ করে দিয়েছেন এবং মাত্র ২% কৃষক বাজারজাত করণের কমপক্ষে ৭ দিন আগে এন্টিবায়োটিক প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন কিন্তু তারা এটি নিয়মিত অনুসরণ করেন নি। এরই পরিপেক্ষিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের ঔষধ পশাসন অধিদপ্তর গত ৭ মার্চ ২০১৯ সালে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্দিষ্ট কিছু এন্টিবায়োটিকের রেজিশট্রেশন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করেন।
এন্টিবায়োটিক প্রোপার ডোজ হিসেবে নিতে হয়, কিন্তু মুরগির মাধ্যমে আসা এন্টিবায়োটিক ডোজ হিসেবে থাকছে না। এর ফলে এন্টিবায়োটিক আন্ডার ডোজ হিসেবে গ্রহণে দুটিঘটনা ঘটে। হয় এটি কোনো কাজ করবে না অন্যথায় আমাদের শরীরে থাকা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু গুলো স্বল্প পরিমান এ এন্টিবায়োটিক গ্রহণ করে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে রেজিসটেন্স তৈরি করে। যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে হ্রাস করে দেয়। এছাড়া এন্টিবায়োটিক যুক্ত ব্রয়লার আহারের কারণে গর্ভবতী মহিলা ও শিশুদের নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমাদের দেশের ব্রয়লার মুরগীর মাংস অপেক্ষাকৃত
সহজলভ্য হওয়ায় সকল শ্রেণির মানুষের খাদ্য তালিকায় এটি পাওয়া যায়। কিন্তু এন্টিবায়োটিক যুক্ত ব্রয়লার মুরগি আহারের ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাচ্ছে। সামান্য অসুস্থতার জন্য অনেক টাকার ঔষধ খেতে হয়। বাংলাদেশে জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি ও আয় বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রাণিজ আমিষের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাণীজ আমিষের চাহিদা পূরণে আশির দশক থেকে এদেশে ব্রয়লার মুরগি পালন শুরু হয়।। বিগত কয়েক বছরে রেডমিটের বাজার মুল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্রুত বর্ধনশীল ব্রয়লার মুরগি প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে দেশে মোট মাংসের চাহিদার শতকরা ৪০-৪৫ শতাংশ আসে পোলট্রি থেকে। উচ্চ মাত্রার কোলস্টেরলের কারণে অনেকেই গো-মাংস কম গ্রহণ করেন। তাই ধর্ম বণর্ নির্বিশেষে সবার কাছেই পোলট্রি মাংস গ্রহণ যোগ্য। এছাড়া ব্রয়লার সহজলভ্য ও সর্বত্রই পাওয়া যায়, মাংস প্রক্রিয়াজাত করণও সহজ। সুতরাং এ সকল বিবেচনায় এন্টিবায়োটিক মুক্ত ব্রয়লার উৎপাদনের প্রয়োজনীতা অনস্বীকার্য। (চলবে…)
লেখক: প্রফেসর, গবেষক, কন্সাল্ট্যান্ট, ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়