র্মল প্রাকৃতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে ফলজ,বনজ ও ঔষুধি গাছ রোপন করার বিকল্প নেই। প্রাকৃতিক পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য প্রত্যেকেরই বেশি করে বৃক্ষ রোপন করা অতীব প্রয়োজন। সুস্থ্য জীবনের জন্য নির্মল বায়ু ও অক্সিজেন দান করে গাছ। এসব গাছ বড় হলে পরিবেশ ও প্রতিবেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আপনি হয়তো লক্ষ লক্ষ গাছ লাগাতে পারেন না, তবে আপনি যদি ভালবাসা এবং যত্নের সাথে একটি গাছের দেখাশোনা করেন, তাহলে সেটাও আপনাকে মহান করে তুলবে। গাছ মানুষের মনকে শান্তি দেয়। যে বৃক্ষ রোপন করে, সে নিজেকে ছাড়াও অন্যকে ভালবাসে।
এই গাছ কে ভালবেসেই টাংগাইলের নাগরপুরে বৃক্ষপ্রেমী খ্যাত মো. রফিকুল ইসলাম নিজ উদ্যোগে বিনামূল্যে ফলজ বৃক্ষ চারা বিতরন কর্মসূচি পালন করলেন।
বিগত ১৫-১৬ই জুন বুধ ও বৃহস্পতিবার টাংগাইলের নাগরপুরে ২ দিনব্যাপী বিনামূল্যে ফলজ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।”পুষ্টির চাহিদা পূরণ করি, বেশি বেশি ফলজ বৃক্ষ রোপন করি” উক্ত শ্লোগানে নাগরপুর উপজেলার ৫ টি হাই স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষক মন্ডলীর মাঝে ৪ হাজার চায়না-৩ এবং থাই পেয়ারার চারা বিতরন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল নাগরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ওয়াহিদুজ্জামান, তিনি বিশেষ কারনে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। চারা বিতরন অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ৫ স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির প্রধান উদ্যোক্তা বৃক্ষপ্রেমী রফিকুল ইসলাম। তিনি গ্রামের মানুষের পুষ্টির অভাব পূরণের জন্য এই মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করেন। যাতে করে প্রত্যেক স্কুলের প্রতিটা শিক্ষার্থীদের বাসায় অন্তত একটা ফল গাছ যেন থাকে, তারা তাদের সেই গাছ থেকে মৌসুমে যেন ফ্রেস ভেজালমুক্ত একটি গাছের ফল খেতে পারে। এর মাধ্যমে স্কুলের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক মন্ডলীরা যেন ফলজ বৃক্ষ রোপনে উৎসাহিত হয়। তিনি আরো বলেন আমাদের এই উদ্যোগ পুরো টাঙ্গাইল জেলার সকল স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিয়ে। অনুষ্ঠানে বক্তারা আরো মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। পুরো বৃক্ষ রোপন কর্মসূচির সার্বিক সহযোগিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মো. জাহিদ হাসান।