• About Us
  • Privacy Policy
  • Contact
পুষ্টি তথ্য
  • হোম
  • পোলট্রি
  • ডেইরী
  • কৃষি
  • মৎস্য
  • ম্যাগাজিন
  • প্রবন্ধ
  • অন্যান্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সফল কথা
    • প্রশ্নোত্তর
    • রেসিপি
পুষ্টি তথ্য
No Result
View All Result
Home অন্যান্য

পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলায় কৃষিক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে

August 7, 2022
in অন্যান্য, কৃষি, ফিচার পোস্ট, সফল কথা
0
0
SHARES
4
VIEWS
Share on FacebookShare on Twitter

পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের গতিশীলতা আসবে। ঘটবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। এর সরাসরি প্রভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার কৃষিতে ব্যাপক উন্নয়ন ঘটবে এবং জেলাগুলোর রফতানিমুখী কৃষিভিত্তিক পণ্য অল্প সময়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাতে পারবে। যার কারণে এ এলাকার কৃষক তার পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাবে এবং তাদের উৎপাদিত পণ্য নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা কমে আসবে ব্যাপকভাবে। ফলে পুরো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। যে জেলাগুলো এই সেতু থেকে সরাসরি লাভবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে সেগুলো হচ্ছে-খুলনা বিভাগের খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, সাতক্ষীরা, নড়াইল, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ ও মাগুরা; বরিশাল বিভাগের বরিশাল, পিরোজপুর, ভোলা, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ঝালকাঠি এবং ঢাকা বিভাগের গোপালগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরীয়তপুর ও রাজবাড়ী। বিগত ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করলেন। এটি পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর জেলা যুক্ত হয়েছে। দুই স্তরবিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাসের এই সেতুর ওপরের স্তরে চার লেনের সড়কপথ এবং নিচের স্তরে একটি একক রেলপথ রয়েছে। সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬.১৫ কিলোমিটার এবং প্রস্থ ১৮.১০ মিটার যা বিশ্বের অন্যতম একটি সেতু। এ সেতুর মাধ্যমে দীর্ঘদিনের পিছিয়েপরা দক্ষিণাঞ্চলের ৪ কোটিরও বেশি মানুষের সঙ্গে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক বন্ধন সুদৃঢ় হবে। কোটি মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল হবে। বিশ্বব্যাংকের মতে, দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর সুফল ভোগ করবে। পাশাপাশি প্রতিবেশী দেশ ভারত, ভুটান, নেপাল ও মিয়ানমারের সঙ্গে এদেশের সড়ক ও রেল সংযোগ স্থাপিত হবে। ফলে এ অঞ্চলের অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে।
খুলনা ও বাগেরহাটের মাছ; যশোরের সবজি আর ফুল: পটুয়াখালীর মুগডাল, তরমুজ, মাছ; মাদারীপুরের পেঁয়াজ, মসুর, সরিষা; বরিশালের ধান ও পানসহ নানাবিধ কৃষিপণ্যে সরাসরি এর প্রভাব পড়বে। ধারণা করা হচ্ছে মাগুরার লিচু চাষিরাই আগামী বছর থেকে প্রতি মৌসুমে অন্তত ৫০ কোটি টাকার বাড়তি লিচু বিক্রি করতে সক্ষম হবে। লিচুর পাশাপাশি মাগুরার প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি, ১২ হাজার হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক জমিতে কাঁচামরিচের চাষ হয়। পাট, পেঁয়াজ আবাদে দেশের মধ্যে অন্যতম ফরিদপুর জেলা। এসব পণ্য দ্রুত ঢাকার বাজারে পাঠানো সম্ভব হবে। যশোর ও ফরিদপুরের খেজুরের গুড়ের কদর আছে দেশজুড়ে। এখন অঞ্চলগুলোতে রফতানিমুখী কৃষিভিত্তিক পণ্যগুলোকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। এসব পণ্য আন্তর্জাতিক মানদন্ড বজায় রেখে চাষাবাদ করতে হবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা স্থাপন করা এখন সময়ের দাবি। কৃষির উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি রফতানিমুখী কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করতে প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা অতি দ্রুত গ্রহণ করতে হবে। এতেই সমৃদ্ধ হবে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনীতিসহ পুরো বাংলাদেশ। সার্বিকভাবে বলা যায়, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানকার কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় সূচনা হবে এক নতুন অধ্যায়ের।
কৃষি অর্থনীতির অন্যতম অংশ প্রাণিসম্পদ খাতে পদ্মা সেতু ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষক ও গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আবু হাদী নূর আলী খান বাংলাদেশের কৃষিতে পদ্মা সেতুর ভূমিকা স্মারক বক্তৃতায় বলেছেন, ‘দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোতে বিশেষ করে শরীয়তপুরে বছরে ৮১ হাজার টন মাংস ও ১ লাখ ৫ হাজার টন দুধ উৎপাদিত হয়। প্রতিবছর জেলার চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৪২ হাজার টন মাংস ও ৩২ হাজার টন দুধ উদ্বৃত্ত থেকে যায়।’ এতদিন ফেরিঘাটের ভোগান্তির কারণে উদ্বৃত্ত এসব মাংস ও দুধ ঢাকায় বিক্রি করা যায়নি। তুলনামূলক কম দামে বাড়তি মাংস ও দুধ বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ওইসব এলাকার খামারিদের। আবার কোরবানি ঈদে এই অঞ্চলের খামারিদের ট্রলারে বা ফেরিতে গবাদিপশু পারাপার করায় পড়তে হয়েছে বিড়ম্বনার সঙ্গে গুনতে হয়েছে অধিক ভাড়া। দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পশু ব্যবসায়ী ও খামারিরা মনে করেন পদ্মা সেতুর কারণে ঈদের আগে তাদের রাজধানীতে পশু পরিবহন সহজ হবে, তাই এ বছর আরও বেশি পশু বিক্রি হবে বলে আশা করছেন তারা। এখন সেতু চালু হলে মাত্র ২ ঘণ্টায় ঢাকায় পৌঁছাবে এসব দুধ ও মাংস। তা ছাড়াও পোলট্রি শিল্পের সম্প্রসারণ ঘটবে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে। পরিবহন বিড়ম্বনার জন্য ক্ষুদ্র ও মাঝারি মুরগি খামারিদের অধিক দামে প্যাকেটজাত দানাদার খাদ্য সংগ্রহ করতে হতো। যার ফলে তাদের লাভের পরিমাণ ছিল খুব সামান্য। দানাদার খাদ্য সহজে পরিবহন করার কারণে এর মূল্য হ্রাস পাবে। খামারিরা ন্যায্য দাম পাবে এবং হাঁস-মুরগি প্রতিপালনে আগ্রহী হবে। প্রাণিসম্পদ থেকে উৎপাদিত পণ্য দুধ, ডিম এবং মাংস সবই পচনশীল। এসব পণ্য সংরক্ষণের সুযোগ নেই আমাদের দেশে। সংরক্ষণের সুবিধা না থাকায় তৎক্ষণাৎ এসব পণ্য কম দামে বিক্রি করে ক্ষতির মুখে পড়তে হয় খামারিদের। ব্যবসায়ীরা এক দিকে লাভবান হবে অন্যদিকে গরু-ছাগল ও হাঁস-মুরগি পালনে তরুণ উদ্যোক্তারাও ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনায় এগিয়ে আসবে। নিঃসন্দেহে ওইসব এলাকার প্রাণিসম্পদ খাতে সুবাতাস বইবে। পদ্মা সেতু উদ্বোধনের মাধ্যমে বাংলাদেশের মৎস্য সেক্টর বিশেষ করে দক্ষিণাঞ্চলের চিংড়ি খাত থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকুয়াকালচার বিষয়ক গবেষক ও স্বনামধন্য শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক সম্প্রতি তার লেখা এক প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন, ‘দক্ষিণাঞ্চলে প্রচলিত পদ্ধতিতে যে পরিমাণ চিংড়ি উৎপাদিত হচ্ছে তার বর্তমান স্থানীয় বাজারমূল্য হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। চাষ পদ্ধতি

Related Posts

গর্ভবতি মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা খাওয়া দরকার

All Cummunity Club এ MSD AH এর সৌজন্যে দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত

শোক বার্তা

কৃষিতে অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রফেসর নূর হোসেন

একটু উন্নত করে আধা-নিবিড় প্রক্রিয়ায় চাষ করলে চিংড়ির

উৎপাদন ৭ গুণ বাড়ানো সম্ভব এবং যার খামারের গেটে মূল্য হচ্ছে ১.৫ লাখ কোটি টাকা। মৎস্য অধিদফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাংলাদেশে চিংড়ি খামারের আয়তন ও উৎপাদন ছিল যথাক্রমে ২,৫৭,৮৮৮ হেক্টর ও ২,৭০,১১৪ মেট্রিক টন। চিংড়ি বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি পণ্য। সামগ্রিক কৃষিক্ষেত্রে চিংড়ি একমাত্র রফতানিযোগ্য পণ্য যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাহফুজুল হক আরও লিখেছেন, ‘চিংড়ি উৎপাদনের ৯০ শতাংশেরও বেশি উৎপাদিত হয় খুলনা বিভাগের জেলাগুলোতে। প্রচলিত পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষের উৎপাদনশীলতা অত্যন্ত কম, যা বর্তমানে হেক্টরপ্রতি এক মেট্রিক টনের মতো। প্রচলিত পদ্ধতির এই চিংড়ি খামারগুলোতে আধা-নিবিড় পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করলে হেক্টরপ্রতি উৎপাদন ৭ থেকে ৮ টনে উন্নীত করা সম্ভব। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের চিংড়ি চাষ এলাকায় ব্যাপক ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। পদ্মা সেতুর সুদূরপ্রসারী প্রভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের মাধ্যমে স্থানীয় চাষিদের সঙ্গে বিভিন্ন শ্রেণির উদ্যোক্তাদের তথ্য ও জ্ঞানের আদান-প্রদান হবে। তাতে করে প্রচলিত পদ্ধতিতে পরিচালিত চিংড়ি খামারের উৎপাদনশীলতা বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে, আন্তর্জাতিক মানদন্ডে চিংড়ি উৎপাদিত হবে এবং বিদেশে চিংড়ি রফতানির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে। রফতানি বাজারের পাশাপাশি স্থানীয় বাজারে বিশেষ করে রাজধানী শহর থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভাগীয় শহরে চিংড়ির সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, চাষিরা অধিক মূল্য পাবে এবং লাভবান হবে।
এই সেতুকে ঘিরে ইতোমধ্যে আশপাশের জেলাগুলোতে শুরু হয়েছে শিল্পায়ন, কৃষিতে এসেছে নতুন জোয়ার। সেতু চালুর পরপরই বদলে যেতে থাকবে অর্থনীতি। বিশেষ করে কৃষিতে নিঃসন্দেহে আসবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। সেতুর কারণে বাড়বে কৃষি পণ্যের উৎপাদন। বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের উন্নয়নের জন্য পদ্মা সেতুর গুরুত্ব অপরিসীম। সেতুটি একই সঙ্গে কৃষিপণ্যের পরিবহন, বিনিয়োগ সহজতর করবে পাশাপাশি কৃষিকাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সহজেই পৌঁছে যাবে প্রান্তিক অঞ্চলের কৃষিজমিতে। এই অঞ্চলে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের ফলে কৃষি উৎপাদন খরচ হ্রাস, উৎপাদন বৃদ্ধি ও দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিপণ্য সহজেই সারা দেশে পৌঁছানো সম্ভব হবে। এ সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার দূরত্ব অনেকাংশে কমে যাবে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে সারা দেশের
সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হবে। কৃষিক্ষেত্রে এ সেতু হবে এক নতুন মাইলফলক।
কৃষিতে আধুনিকতার বিস্তার, ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নতি, কৃষকের সাবলম্বিতা, দারিদ্র্য নিরসনসহ সর্বোপরি দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে সেতুটির বাস্তবায়ন। পদ্মা সেতু বাস্তবায়নের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার এক দশমিক দুই শতাংশ বেড়ে যাবে। এর মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার ৪ কোটিরও অধিক মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন আনবে পদ্মা সেতু। এ সেতুর কারণে এসব এলাকায় ব্যাপক আকারে শিল্পায়ন হবে, কৃষিতে আসবে আমূল পবিবর্তন, লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। মানুষের আয় বাড়বে এবং পরিবর্তন আসবে জীবন-জীবিকায়। দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার আশাতীত বৃদ্ধি পেতে পারে।
আশা করা যাচ্ছে, পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রথম কোনো সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে রাজধানী ও বন্দরনগর চট্টগ্রামের সরাসরি যোগাযোগ স্থাপিত হবে। পুরো দেশের অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে। কৃষি, শিল্প, অর্থনীতি, শিক্ষা, বাণিজ্য সব ক্ষেত্রেই পদ্মা সেতুর বিশাল ভূমিকা থাকবে। প্রমত্তা পদ্মা নদী দক্ষিণবঙ্গকে এক প্রকার বিচ্ছিন্নই করে রেখেছিল। এর ফলে তৈরি হয়েছিল নদীর এপার-ওপারে বৈষম্য। বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতু দুই প্রান্তের উন্নয়ন কর্মযজ্ঞের সোপান হয়ে উঠবে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ হবে কল্পনাতীত। জাতির পিতার সমাধি এখন আরও সহজগম্য হয়ে উঠবে। জাতির চেতনা বিকাশে এটি ব্যাপক প্রভাব রাখবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত আর দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। পদ্মা সেতু আমাদের অহঙ্কারের প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের গৌরবের প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতা ও আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। প্রকৌশলগত এক বিস্ময়ের প্রতীক। পদ্মা সেতুর ফলে জাতির আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বেড়েছে।
তাই পদ্মা সেতু শুধু একটি সেতুই নয়, এটি দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণের অনবদ্য উপাখ্যান। এ সেতুর প্রতিটি পরতে পরতে বিম্বিত জাতির পিতার সুযোগ্য উত্তরসূরি শেখ হাসিনার প্রত্যয় আর দৃঢ়তার প্রতিচ্ছবি। সে কারণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা। পাশাপাশি এ সেতু সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সার্বিকভাবে বলা যায়, পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটবে এবং সেখানকার কৃষকদের জীবন ও জীবিকায় এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে।


লেখক: উপ-পরিচালক, জনসংযোগ ও প্রকাশনা
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

Next Post

বাজেটে অবহেলিত প্রানিসম্পদ খাত

খাদ্য ও কৃষি খাতে পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে এফএও-বাংলাদেশ সহযোগিতার একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে

Leave a Reply Cancel reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পপুলার পোস্ট

No Content Available

গর্ভবতি মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা খাওয়া দরকার

All Cummunity Club এ MSD AH এর সৌজন্যে দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত

শোক বার্তা

কৃষিতে অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন প্রফেসর নূর হোসেন

দই খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা

গর্ভবতি মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় যা খাওয়া দরকার

All Cummunity Club এ MSD AH এর সৌজন্যে দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্টিত

কৃষিতে অনন্য অবদানের জন্য সম্মাননা পেলেন, প্রফেসর নূর হোসেন

ঢাকায় দু’দিনব্যাপী WVPA এশিয়া আঞ্চলিক সম্মেলন অনুঠিত উন্নত দেশ ও স্বাস্থ্যবান জাতি গড়তে হলে সবার জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে নিরাপদ ডিম, দুধ ও মাংস নিশ্চিত করতে হবে

Technical Seminar by MSD AH At Hotel Westin on “Respiratory Disease in Poultry Production and control Measures”

পোলট্রি ও কৃষি সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

জাঁকজমক আয়োজনে ‘বিশ্ব ডিম দিবস-২০২২ পালন করলো বাংলাদেশ এনিমেল এগ্রিকালচার সোসাইটি (BAAS)

ড. এফ এইচ আনসারী পেলেন জাতীয় মৎস্য স্বর্ণপদক ২০২২

বিশ্ব ডিম দিবসের আলোচনায় ‘ডিম একটি সুপার ফুড’ দি ভেট এক্সিকিউটিভ

২০২২-২৩ অর্থ বছরে ইন্টার্ন ছাত্র-ছাত্রীদের “আইনগত দক্ষতা ও পেশাগত নৈতিকতা” শীর্ষক প্রশিক্ষণের শুভ উদ্বোধন

Load More


কর্পোরেট অফিস:
বাড়ী নং ২৫, রোড নং ০২, সেক্টর-১১, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০

Email:
[email protected]

Phone:
01716-607530
01911-437848


গাজীপুর অফিস:
এ/২২২, দিঘীরচালা, চান্দনা-১৭০২, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন


পৃষ্ঠপোষক:

শামছুল আরেফিন খালেদ
পরিচালক, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি লিঃ


কৃষিবিদ মোঃ আবদুল লতিফ
ব্যবস্থাপনা পরিচালক, পিভিএফ এগ্রো লিঃ


মোঃ আনোয়ার হোসেন শামিম
চেয়ারম্যান, পাওয়ার ফিস এন্ড পোলট্রি ফিড লিঃ


পৃষ্ঠপোষক:

মোঃ মোশাররফ হোসেন চোধুরী
ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইব্রাতাস ট্রেডিং কোম্পানী


কৃষিবিদ মোঃ শাহীন শাহ
পরিচালক, এসিআই এনিমেল হেলথ লিঃ


মোহাম্মদ ফজলুল ওহাব সোহেল
প্রধান নির্বাহী, গাউছিয়া পোলট্রি ফিড

© 2019 Pusty Tattho-Developed by Mini Institute.

No Result
View All Result
  • হোম
  • পোলট্রি
  • ডেইরী
  • কৃষি
  • মৎস্য
  • ম্যাগাজিন
  • প্রবন্ধ
  • অন্যান্য
    • সাক্ষাৎকার
    • সফল কথা
    • প্রশ্নোত্তর
    • রেসিপি

© 2018-2023 Pusty Tattho@.

Welcome Back!

Login to your account below

Forgotten Password?

Retrieve your password

Please enter your username or email address to reset your password.

Log In

Add New Playlist